সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। কালের খবর চট্টগ্রামের ইপিজেডে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ ২জন গ্রেপ্তার। কালের খবর রাজধানী ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। কালের খবর সাতক্ষীরায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইয়াছিন আলীকে কুপিয়ে জখম। কালের খবর সাতক্ষীরার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল। কালের খবর শাহজাহান আবদালীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। কালের খবর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কালের খবর মাটিরাঙ্গার অপরাধ আখড়া রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইলসহ মাদক বাণিজ্য। কালের খবর গ্যাস সরকারি, বিল যাচ্ছে দালালের পকেটে
দেশের চা বাগানের সংখ্যায় গরমিল। কালের খবর

দেশের চা বাগানের সংখ্যায় গরমিল। কালের খবর

সিলেট প্রতিনিধি, কালের খবর :

আমরা সিলেটপিডিয়া’র জন্য সিলেট বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছি। সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করার সময় বিভিন্ন বই, অনলাইনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই সব তথ্যের সাথে সামঞ্জস্য আছে কি না তা মিলিয়ে দেখি।

কুলাউড়া উপজেলার ইতিহাস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে চা বাগানের সংখ্যা নিয়ে আমাদের সমস্যার পড়তে হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ ধরণের তথ্য আমরা পেয়েছি। তার মধ্যে তথ্য বাতায়নে ২০, বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ২৬ এবং বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ৩৩টি চা বাগান কুলাউড়া উপজেলায় রয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়! আবার দেশের মোট বাগানের সংখ্যার ক্ষেত্রে তথ্যের গরমিল রয়েছে চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ১৬৭, উপজেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী ১৫৩ এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ১৬৬।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের ডিসেম্বর ৩, ২০১৯ সালে সর্বশেষ আপডেট করা তথ্য অনুযায়ী সারা দেশের নিবন্ধনকৃত- ১৬৭ টি বাগানের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় । তার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৭৬ টি, টি এস্টেট ও ১৫ টি চা বাগানের সমন্বয়ে বাগানের সংখ্যা দেখানো হয়েছে মোট ৯১ টি ।

থানা বা উপজেলা অনুযায়ী যেহেতু বাগানের সংখ্যা আলাদা ভাবে প্রকাশ করা হয়নি তাই প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বাগানের সংখ্যা আলাদা করতে গিয়ে সিলেটেপিডিয়ার কাছে যে তথ্য আসে তা হল কুলাউড়া থানায় মোট চা বাগানের সংখ্যা ২৬টি।

অন্যদিকে কুলাউড়া উপজেলা তথ্য বাতায়নের সাব মেনুর ভৌগলিক পরিচিতি অংশের আলোচনাতে লেখা হয় ‘‘কুলাউড়ার ভূমি পাহাড়, টিলা সমতল ও জলাভূমির সমন্বয়ে গঠিত। এখানকার পাহাড়গুলো বনজ সম্পদে ভরপুর। টিলায় রয়েছে চা বাগান।

বাংলাদেশের মোট ১৫৩টি চা বাগানের মধ্যে এ উপজেলা ২০ টি চা বাগান রয়েছে। সমতল ভূমিতে ধান ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয় এবং জলাভূমিতে প্রচুর মাছ উৎপাদিত হয়। এ উপজেলায় বাংলাদেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওর এর উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে।’’

অপরদিকে মৌলভীবাজার জেলা তথ্য বাতায়নের জেলা সম্পর্কিত মেনুর সাব-মেনু ‘একনজরে জেলা’র ১৬ নাম্বার সিরিয়ালে লেখা হয় মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানের সংখ্যা ৯২ টি।

আবার মৌলভীবাজার জেলা তথ্য বাতায়নের ‘জেলা ব্র্যান্ডি মৌলভীবাজার’ লেখা হয়েছে বাংলাদেশের ৭টা টি ভ্যালীর মধ্যে সিলেট বিভাগে রয়েছে ৬টি ভ্যালী। এই ৬টি ভ্যালীতে মোট চা বাগানের সংখ্যা ১৩৮টি। তার মধ্যে মৌলভীবাজার জলোয় রয়েছে ৯২ টি চা বাগান। যার কারণে মৌলভীবাজারকে চায়ের রাজধানীও বলা হয়’।

কুলাউড়া উপজেলার চা বাগানের তথ্য গুলি এক সাথে করলে দেখা যাবে চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ২৬ টি , উপজেলা তথ্য বাতায়নের তথ্য অনুযায়ী ২০ এবং বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় বাগানের সংখ্যা ৩৩ টি।

অন্যদিকে সারা দেশের বাগানের সংখ্যার মধ্যে বেশ গরমিল পরিলক্ষিত হয় বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট বাগানের সংখ্যা ১৬৭ টি এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় বাগানের সংখ্যা ৯১ টি। আবার উপজেলা তথ্য বাতায়ন দেশে বাগানের সংখ্যা ১৫৩ টি বলে উল্লেখ্য করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো জানুয়ারি ২৩, ২০১৯ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করে চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা-বাগানের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৬টি চা–বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২ টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ২টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা–বাগান রয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউন এপ্রিল ১১, ২০১৯ সালে তাদের একটি খবরে দেশের চা বাগানের সংখ্যা উল্লেখ্য করে ১৬৬ এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩ টি।

আমরা যখন স্কুলে পড়েছি তখন চা বাগান নিয়ে রচনা লিখতে হত। এখনও স্কুলে এরকম রচনা পড়ানো হয় এবং পরীক্ষায়ও আসতে পারে। এর ফলে আগ্রহী ছাত্র/ছাত্রীরা চা বাগানের তথ্য জানার জন্য আগ্রহী হয়ে অনলাইনে খোঁজে পেতে চাইবে। আবার অন্য যে কারো চা বাগানের সংখ্যা নিয়ে কোন তথ্য জানার আগ্রহ থাকতে পারে।

তাহলে তিনি অবশ্যেই অনলাইনে তথ্য খুঁজবেন। আর যখন তিনি তথ্য পাওয়ার জন্য গুগলে সার্চ করবেন তার সামনে উপরোক্ত তথ্য গুলো হাজির হবে। এক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই দ্বিধা ধন্ধের মধ্যে পড়বেন। তিনি কোন তথ্যটি নিবেন? তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে একই ধরণের সঠিক তথ্য প্রকাশ করে বিভ্রান্তি দুর করা একান্ত আবশ্যক।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, সিলেটপিডিয়া

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com